থাকেন তো ঢাকায়, ঢাকার বাইরে গিয়েছেন কখনো

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আজ আমাদের সন্ত্রাসী বলা হয়, জঙ্গি বলা হয়; কী কারণে জঙ্গি হলাম আমরা? আমরা তো আগে জঙ্গি ছিলাম না। আমার সময়ে তো কোনো সন্ত্রাসী-জঙ্গি ছিল না, তবে আজ কেন বলা হচ্ছে? আমরা কোথায় আছি?

তিনি বলেন, এর কারণ- দেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একতা নেই। আমাদের একত্রিত হতে হবে। সামনে বিরাট পরীক্ষা, ভয়ঙ্কর বিপদ। যদি বাঁচতে হয় সবাইকে এক হতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই- ইসলাম, কৃষ্টি এবং দেশরক্ষা।

আজ রাজধানীর বনানীতে জাপার কার্যালয়ে জাতীয় ওলামা পার্টি আয়োজিত ‘ইসলাম, মুসলিম বিশ্ব ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্যাভাব রয়েছে অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন- ৫৬ টাকা চাল হয়েছে তো কী হয়েছে? মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১৬০০ ডলার। থাকেন তো ঢাকায়, ঢাকার বাইরে গিয়েছেন কখনো? দেখেছেন মানুষ কী অবস্থায় আছে? ৮৮ এর বন্যায় কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। আর এখন ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। কিছুদিন আগে তো পচা গমও এনেছিলেন আপনি।

আসন্ন নির্বাচনে দেশের সকল আলেম-ওলামাকে নিজেদের মধ্যকার ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় পার্টির জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের উন্নতিতে জাতীয় পার্টির শাসনামলে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলাম। আমি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছিলাম। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দিয়েছিলাম।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন এরশাদ।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। গতকাল হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তারা তাদের কষ্টের কথা আমাকে জানিয়েছেন। এই দেশে আইনের শাসন নাই, বাঁচার মত অবস্থা নাই। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। একমাত্র জাতীয় পার্টিই পারে দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে, দেশে সুশাসন কায়েম করতে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা সবাই একতাবদ্ধ হোন, জাতীয় পার্টির পতাকাতলে আসুন। সামনের নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তাহলে জাতীয় পার্টিই সরকার গঠন করবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতি, মেজর অব. খালেদ আখতার, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, জাতীয় ওলামা পার্টির নেতা ক্বারি মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদাপ্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর